লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষ ও কৃষক দলের কর্মী হত্যায় ৪ মামলা, আসামি ৩,৮০৫
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি, আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশের মধ্যে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলায় তিন হাজার ৮০৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া কৃষক দলের কর্মী মো. সজীব হোসেন নিহতের ঘটনায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত সজীবের ভাই মো. সুজন হোসেন বুধবার (১৯ জুলাই) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন এ মামলার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে শহরের সামাদ মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সজীবকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনি দৌড়ে কলেজ সড়কের মদিনউল্যা হাউজিংয়ের পাশের একটি ভবনে আশ্রয় নেন। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
বিএনপি সজীবকে কৃষক দলের কর্মী দাবি করে অভিযোগ করেছে, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে পুলিশের দাবি, সজীব বিএনপির পদযাত্রায় এসে মারা যাননি বরং ব্যক্তিগত কাজে এসে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে দুটি মামলায় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির মোট তিন হাজার ৫৫৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতে বিষ্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় এ্যানিসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই হাজার বিএনপিকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
অপর মামলায় পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় এ্যানিকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে মোট ১,৫২৫ জন বিএনপিকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এদিকে জেলার কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু মঙ্গলবারের সংঘর্ষে তার বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আড়াইশ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।