ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আসন্ন সংশোধনীতে খুশি হবেন সাংবাদিকেরা: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করছে সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বরে আইনটি সংসদে পেশ করা হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে ইইউ-এর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এ আইনের সংশোধনের ফলে সাংবাদিকেরা খুশি হবেন।
'আপনাদের (সাংবাদিকদের) উদ্বেগ সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি যে আপনারা এ সংশোধনী নিয়ে খুশি হবেন,' সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন তিনি।
মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
এই আইনের প্রয়োগের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না তা খুঁজে বের করতে দলটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচসিআর) অফিসের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
তবে সব ধরনের মত প্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সুশীল সমাজের সদস্যরা বিতর্কিত এ আইন সংশোধনের বদলে বাতিলের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণীত হয়নি বা এ ধরনের কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে না। আইনটির অপব্যবহার রোধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সমাধান নেওয়া হয়েছে,' আইনমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করে।
৭ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫২তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করার আহ্বান জানান।