‘সীমান্তে অস্ত্র মজুত’ করার কাদেরের অভিযোগ আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্র: ফখরুল
'সীমান্তে অস্ত্র মজুত করার' ক্ষমতাসীন দলের অভিযোগকে প্রত্যাখান করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, এটি সরকারবিরোধী আন্দোলন ও বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ বানচালের নতুন চক্রান্ত।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের উত্থান এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ঠেকাতে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে। জনাব ওবায়দুল কাদের এক বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য বিএনপি সীমান্তে অস্ত্র মজুত করছে।'
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ বাংলাদেশ ইউনাইটেড লইয়ার্স শাখার আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ যখন জেগে উঠে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করছে, তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা এই ভয়ঙ্কর মন্তব্য করেছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, 'তারা (আ.লীগ) নতুন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। আমরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে আপনারা যদি আবার জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করেন তবে আপনাদেরকে সমস্ত দায়ভার বহন করতে হবে। জনগণও এর জবাব দেবে।'
ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীতে তাদের দলের মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। 'কোনো ষড়যন্ত্র এবং সহিংসতার পথ অবলম্বন করে এই সমাবেশকে ব্যর্থ করা যাবে না বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।'
বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যথায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সরকার, কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক মতবিনিময় সভায় বলেন, বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করে বলেছিলেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি, যারা জনসমর্থনে বিশ্বাস করে না, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে।'
দেশ ও জনগণকে দুঃশাসনমুক্ত করতে বিরোধী দলগুলোর চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল। 'জনগণের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের মতো আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।'