ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়ে আছেন। যদিও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আজ (২৯ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক উত্তেজনকর পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আজ (শনিবার) ঢাকাজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় নিতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে পুলিশ ছাড়াও আনসার, ভিডিপি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রাজধানীজুড়ে নিয়োগ করা হয়েছে।
এমতবস্থান পুলিশের অনুমতি না পেয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজকের পূর্বঘোষিত প্রোগ্রাম স্থগিতের কথা জানানো হয়েছিল। তবে প্রোগ্রাম স্থগিতের ঘোষণার পরেও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নয়াবাজারে অবস্থান নিয়েছেন। আজ সকাল ১০ টা থেকে তাদেরকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এ সম্পর্কে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক নির্দেশ অনুযায়ী এখানে অবস্থান নিয়েছি। যাতে করে বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে।"
প্রোগ্রামের সিদ্ধান্ত বাতিলের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন জানান, তিনি এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবগত নন।
আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান বলেন, "বিএনপি যাতে কোনো ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে তাই আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। কোনো অপশক্তিতে রাস্তায় জড়ো হয়ে যানবাহনের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। এটা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট থাকবো।"
এদিকে ঢাকার আরেক প্রবেশ পথ গাবতলীতে একটি মঞ্চ তৈরি করে এর চারপাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জড়ো হয়ে রাস্তার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দখল করে রেখেছিল। এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে কেরানীগঞ্জের কদমতলী ব্রিজে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমই মামুনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।