অবস্থান কর্মসূচিতে হামলায় দুই শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী আহত, ১২৪ গ্রেপ্তার: বিএনপি
বিএনপি দাবি করেছে, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানসহ দলের দুই শতাধিক নেতা শনিবার (২৯ জুলাই) অবস্থান কর্মসূচিতে হামলায় আহত হয়েছেন।
নয়াপল্টনে দলীয় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা আরো দাবি করেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ ১২৪ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের লোকদের ব্যবহার করে ঢাকায় যে সহিংসতা চালিয়েছে আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
'এই অত্যাচারী সরকার বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার চেষ্টায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বিনা উস্কানিতে গুলি, টিয়ার গ্যাস এবং সশস্ত্র হামলা দেখে দেশ-বিদেশের মানুষ হতবাক।'
তিনি জানান, মাথায় আঘাতের কারণে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীর ওপর হামলা এবং অগণিত নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার প্রমাণ করে যে, ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত এই সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নয়।
আটকের পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, অন্য দেশের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পুলিশ এ ধরনের কাজ করছে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে শনিবার ঢাকার প্রধান প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত দলটি তাদের নেতাকর্মীদের রাজপথ ত্যাগ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যে কোনো মূল্যে বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে। শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সংগঠন।
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার পর আওয়ামী লীগও নগরীর প্রবেশপথে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের একযোগে কর্মসূচি গণপরিবহন মালিকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি সামনে রেখে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।