মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের গৌড়গঞ্জ নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে পিকনিকের ট্রলার ডুবে নারী-শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও দুইজন নারী রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নিহত কারও নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকাসংলগ্ন নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাত ২টায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান স্থগিতের পর আজ সকাল ৭টা থেকে আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা আজ সকাল ৭টা থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
এদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির যাত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, ট্রলারটিতে ৪৬ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
তবে আউটশাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সেকান্দার বেপারী জানান, ট্রলারে প্রায় ৫০ জন ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্ট থেকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের দিকে যাচ্ছিল পিকনিকের ট্রলারটি। রাত আটটার দিকে খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে অন্ধকারে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে যাত্রীসহ ডুবে যায় ট্রলারটি। দুর্ঘটনার পর কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারেন। এ সময় স্থানীয়রা চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
পরে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল এসে আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করেন।
ঘটনাস্থলে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর রিপন আরও জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও নিহতদের দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।