ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে মৈত্রী সেতু চালু হবে ১ সেপ্টেম্বর
ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে তৃতীয় সমন্বিত চেকপয়েন্ট খোলার মাধ্যমে ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী সেতু'।
অফিসিয়াল সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে প্রস্তাবিত সফরের সময় নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি সাব্রুম চেকপয়েন্ট খোলার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের ৯ মার্চ ফেনী নদীর উপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। তবে, সেতুটি এখনো যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাজু ওয়াহিদ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বলেন, তৃতীয় চেকপয়েন্টটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথ উন্মোচন করবে।
ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, বিএসএফ, স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন এবং স্যানিটেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় পর্যালোচনার জন্য উল্লিখিত এলাকা পরিদর্শনের পর একটি বৈঠক করেন তিনি।
সাজু ওয়াহিদ বলেন, "আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃসীমান্ত চলাচলের সুবিধার্থে মৈত্রী সেতুতে একটি ইমিগ্রেশন কাউন্টার খোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে, এতে কোনো পণ্যবাহী যান চলাচল করবে না। মৈত্রী সেতু ব্যবহার করে সাব্রুম দিয়ে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। ধীরে ধীরে এ রাস্তাটি স্থিতিশীল হয়ে উঠলে এবং পরিকাঠামো সম্পূর্ণরূপে স্থাপন করার পর পণ্য ও কার্গো চলাচল শুরু হবে।"
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারতীয় অংশে বিএসএফের ১২৬ ব্যাটালিয়ন এবং বাংলাদেশ অংশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৯৬ ব্যাটালিয়ন যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে।
কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে ত্রিপুরা হয়ে ভারতে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক কার্গো যাতায়াতের সুবিধা দেবে মৈত্রী সেতু।