মজুরির দাবিতে আন্দোলনে হোসনাবাদ চা বাগানের শ্রমিকরা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হোসনাবাদ চা বাগানে সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান না করায় শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন । শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে বাগানের সব কার্যক্রম। আগেও এই বাগানে নির্ধারিত সময়ে মজুরি না দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার (১৯ আগস্ট) থেকে চা বাগানে শ্রমিকদের এই কর্মবিরতী চলছে। চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান করার কথা, এখন সোমবার হয়ে গেলেও বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি দেয়নি।
সোমবার হোসনাবাদ চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা বাগানের কাজ বন্ধ রেখে ম্যানেজারের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করছেন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী নন্দরানী চা বাগানের বট তলায় যান। সেখানে শ্রমিকদের সাথে একাত্ততা পোষণ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা, বালিশিরা ভ্যালীর সাংগঠনিক সম্পাদক কর্ণ তাঁতী, উপদেষ্টা সুভাষ রবিদাশ।
বিজয় হাজরা বলেন, মজুরি না পেয়ে অনেক কষ্টে চলছেন শ্রমিকরা। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে মজুরি না দেওয়া হয় তাহলে শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। শ্রমিকদের এই আন্দোলনের সাথে আমরা চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা অবশ্যই পাশে থাকবো। হোসনাবাদ চা বাগানের মজুরি আটকে রাখার ঘটনা আজ নতুন নয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই এই চা বাগানের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
হোসনাবাদ চা বাগান পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক মালেক মিয়া বলেন, আমরা এই বাগানে ভালো চিকিৎসা পাই না, রেশন পাই না। এখন কয়দিন পর পর মজুরির জন্য আন্দোলন করতে হয়। কয়েক মাস পর পর আমাদের মজুরি বন্ধ করে দেয় বাগান মালিক। গত বৃহস্পতিবার আমাদের শ্রমিকদের মজুরি দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে পরে দিবে। আজ সোমবার এলেও এখন অব্দি কেউ মজুরি পায় নি। মজুরি না দিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
হোসনাবাদ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের চা বাগানের মালিক বর্তমানে একটু অর্থনৈতিক সমস্যায় আছেন। যার কারনে সঠিক সময়ে শ্রমিকদের মজুরি দেয়া যাচ্ছে না। আমি মালিকদের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুতই শ্রমিকরা মজুরি পাবেন।