বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে যুক্তরাজ্য: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য সবসময় সে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে যা বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়।
রোববার (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় সমর্থনের উপর জোর দেন হাইকমিশনার কুক।
তিনি বলেন, "আমাদের মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করছে যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।"
বৈঠকের আলোচনা গড়ে উঠেছিল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা রক্ষায় স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার গুরুত্বের ওপর।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বৈঠকে গণতান্ত্রিক নীতিকে সমুন্নত রাখা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে মিডিয়া ও সুশীল সমাজের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
এদিকে সারাহ কুকের সাথে আলোচনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, "উনি আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন তা জানতে চেয়েছিলেন।"
আলোচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, "পর্যবেক্ষকের বিষয়টা আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি আমরা স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়ে থাকবো। এজন্য পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যমের কাছ থেকে খুব বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করে থাকবো। কারণ নির্বাচনের একটা দর্পণ তা প্রতিফলিত হবে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে।"
এদিকে নির্বাচন কাভারেজের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, "মোটরসাইকেলের অপব্যবহারের আশংকায় আমরা এটি বাদ দিয়েছিলাম। তবে একই সাথে বলেছিলাম গণমাধ্যমের যে দাবি সেটাও যৌক্তিক। মোটরসাইকেল ছাড়া তাদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কাভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। সে জন্য আমরা বলেছি এটা আমরা বিবেচনাধীন রেখেছি।"
সিইসি আরও বলেন, "সারাহ কুক আশা করেছেন নির্বাচনটা যেন অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়।" এক্ষেত্রে এক্ষেত্রে সিইসি পোলিং এজেন্টদের ভূমিকার গুরুত্বের উপর জোর দেন।