অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের গণমাধ্যমে কথা বলতে হলে অনুমতি লাগবে
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পূর্ব অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিসিয়াল কোনো বিষয়ে কোনো বক্তব্য ও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত নির্দেশনা জারি করা হয়। বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের নজরে আসে।
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, 'এই অফিসের সকল আইন কর্মকর্তাগণকে জানানো যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিস-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সাথে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয় অনুরোধ করা হল।'
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে কোন 'বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না' এবং ড. ইউনূসকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে বলে গত ৪ সেপ্টম্বর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এমন নির্দেশনা এসেছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কর্মকর্তারা।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এরকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এতে করে সচেতন হবেন এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হবেন।'
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া গত ৪ সেপ্টম্বর সাংবাদিকদের বলেন, '১৭০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতির বিপক্ষে প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে একটি বিবৃতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমাদের নোটিশ করা হয়েছে এই বিবৃতিতে সই করার জন্যে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিবৃতিতে সই করব না।'
এমরান আহমেদ বলেন, 'আমি মনে করি, তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। ওনার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।'
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার বক্তব্যের পর দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।