আমদানি করা ডিম আসতে পারে আগামী সপ্তাহে
আগামী সপ্তাহে আমদানি করা ডিম দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজ, টাইগার এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি এবং অর্নব ট্রেডিং-কে ১ কোটি করে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সরকার প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এখনো ১২.৫০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডিমগুলো মূলত ভারত থেকেই আমদানি করার প্রক্রিয়া চলছে। কারণ প্রতিবেশী দেশটি থেকেই সবচেয়ে দ্রুত ডিম আমদানি করা সম্ভব। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশে ডিম আসবে বলে জানান আমদানিকারকরা।
টাইগার ট্রেডিং লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী সাইফুর রহমান টিবিএসকে বলেন, আমরা ভারত থেকে ডিম আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ডিমগুলো আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেশে আনতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি জানান, ভারত থেকে ডিম আনলে প্রতিটি ডিম আমরা খুচরা পর্যায়ে ৯-১০ টাকার মধ্যে দিতে পারবো। কারণ আমরা হিসেব করে দেখেছি প্রতিটি ডিম আমদানিতে ৫.৯ থেকে ৭.২ টাকা খরচ পড়তে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিস । অথচ উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি। এই পরিস্থিতিতে যখন দেশের বাজারে বাড়তি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে তখন বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।