খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগে চলছে বিএনপির রোড মার্চ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ থেকে এই রোর্ড মার্চ শুরু হয়েছে। সেখান থেকে মাগুরা ও যশোর জেলার ১৬০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে খুলনা নগরীর শিব বাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে এটি শেষ হবে ।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বয়ক কমিটির সদস্য ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, অনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে ৫ টার মধ্যে নেতাকর্মীরা খুলনাতে পৌছাবেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সকল স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। আওয়ামী অপশাসনে দেশের জনগণ আজ আর ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মানুষ এ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। দেশের জনগণের সাথে একাত্মতা পোষণ করে অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে বিএনপি রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে।
রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পথে পথে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে নেতাকর্মীরা রোডমার্চে যোগ দিয়েছেন। ঝিনাইদহ থেকে খুলনা পর্যন্ত ১০টি পথসভায় বক্তব্য দিবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনা জেলার ফুলতলায় উপজেলায় পৌছালে রোড মার্চকে স্বাগত জানাবে খুলনার নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে গাড়িবহর প্রধান সড়ক দিয়ে নগরীর জিয়া হল চত্বরে পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে সমাবেশের কর্মসূচি দিলেই ধরপাকড় শুরু হতো। এখন পর্যন্ত কাউকে আটকের অভিযোগ আমরা পাইনি। এটা স্বস্তির। তবে বিভিন্ন জেলায় রোড মার্চের গাড়িবহরে হামলা হওয়ায় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে রোডমার্চে শেষ গন্তব্য খুলনার শিব বাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করছেন।
শফিকুল আলম মনা বলেন, ইতোমধ্যে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা জিয়া হল চত্বরে হাজির হয়েছেন। বাকিরা রোড মার্চের সাথে হাজির হবেন।
রোড মার্চকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। নগরীর প্রধান সড়কে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
শফিকুল আলম মনা বলেন, এই রোডমার্চ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। অতীতের বিভাগীয় মহাসমাবেশ, তারুণ্যের সমাবেশের চেয়ে বেশি জনসমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। জনগণ এবার আর ভোট চুরি করতে দেবে না।