আশ্বাস পেয়ে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবেশক ও শ্রমিকরা। রবিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) থেকে তারা কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাস পান।
ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সকাল আটটা থেকে খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত ৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় বিপিসি থেকে আমাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, দাবিগুলো তারা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে। অতি শীঘ্রই আমরা দাবি অনুযায়ী কমিশন পাব। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগেও গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন তারা। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোল বিক্রিতে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ২ টাকা এবং ডিজেলে ২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবেন।
তবে মুরাদ হোসেন বলেন, গত ২৬ তারিখে সরকার নতুন রেট কার্যকর করার গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমরা তেল কিনতে গেলে সেই রেটে কোম্পানিগুলো দিচ্ছে না। কোম্পানিগুলো বলছে সরকারের নির্দেশিত রেট তাদের কাছে এখনো পৌঁছেনি। তাই আমরা ধর্মঘট কর্মসূচি ডেকেছিলাম। তবে কর্মসূচি প্রত্যাহার হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে যথারীতি তেল পরিবহন শুরু হবে।