মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলের সুপারিশের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'তারা তাদের মতামত দিয়েছে। এটা তাদের মতামত। এগুলো আলাদা কিছু নয়। আমরা এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।'
ড. মোমেন বলেন, অনেক বিদেশি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মজা করে এবং কিছু মিডিয়া তাদের অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, তারা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে তারা ভোটার চান।
তিনি আরও বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে যান না, বরং বিদেশিরা দ্বিপক্ষীয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।
আইআরআই ও এনডিআই'র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধিদল রোববার বলেছে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে 'সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়' তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
প্রতিনিধিদল বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসাবে নিচের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেছে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সুপারিশগুলো হলো:
- সংযত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে উন্মুক্ত ও অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নেওয়া
- মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করা
- অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করা
- স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং
- নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করা।