‘ডিজাস্টার অ্যালার্ট ফর বিডি’ অ্যাপে মিলবে দুর্যোগের আভাস
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস জানাতে বিশেষ এক অ্যাপ তৈরি করছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) 'প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন'। 'ডিজাস্টার অ্যালার্ট ফর বিডি' নামের এই অ্যাপের মাধ্যমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে করণীয় সম্পর্কেও জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন আয়োজিত 'কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স টু ফ্লাডিং ইন বাংলাদেশ লার্নিং অ্যান্ড ওয়েস ফরোয়ার্ড' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শওকত আরা বেগম ও থিমাটিক লিড (ক্লাইমেট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স) তামান্না রহমান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, 'ডিজাস্টার অ্যালার্ট ফর বিডি' অ্যাপটি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় যেসব সেচ্ছাসেবীরা কাজ করেন তারাও এই অ্যাপে অন্তর্ভূক্ত থাকবেন। আগাম সতর্কতার সঙ্গে দুর্যোগের সময় অ্যাপ ব্যবহারকারী যে কোন ধরনের সাহায্য চাইতে পারবে এই অ্যপের মাধ্যমে।
প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শওকত আরা বেগম জানান, পাঁচ বছর মেয়াদী 'ফ্লাড রেজিলিয়েন্স' প্রকল্পের আওতায় 'ডিজাস্টার অ্যালার্ট ফর বিডি' নামের অ্যাপটি তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বন্যার পূর্বাভাস নিয়ে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে করে দুর্গম ও প্রান্তিক পর্যায়ে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান জানান, দেশে দুর্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে, তাদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকদের এক ছাতার নিচে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই নীতিমালা করা হচ্ছে।
মিজানুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এ কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে এসেছে।
প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের থিমাটিক লিড (ক্লাইমেট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স) তামান্না রহমান জানান, 'ফ্লাড রেজিলিয়েন্স মেজারমেন্ট ফর কমিউনিটি' টুলের মাধ্যমে কমিউনিটির বন্যা সহনশীলতার সক্ষমতা পরিমাপের মাধ্যমে প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে বিভিন্ন সময় বন্যাসহ অন্যান্য দুর্যোগের পূর্বাভাস সম্পর্কে মোবাইল ফোনে 'ভয়েস মেসেজ' পাঠানো হয়েছে। এই ভয়েস মেসেজের কারণে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সময় পান।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় চারটি ইউনিয়ন পরিষদে 'ডিজিটাল ওয়েদার বোর্ড' বসানো হয়েছে। এসব ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের পাশাপাশি কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন তথ্যও জানতে পারছেন।