কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় সমাবেশের আড়াই ঘণ্টার মাথায় যেভাবে ফাঁকা হলো নয়াপল্টন সভাস্থল
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। কিন্তু বেলা তিনটার দিকে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দের মধ্যে সমাবেশের মঞ্চ থেকে চলে যেতে বাধ্য হন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরাও আর সমাবেশস্থলে থাকতে পারেননি। বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থল পুরো ফাঁকা হয়ে যায়। এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসমাবেশ স্থগিত করে আগামীকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন।
এর আগে বেলা দুইটার দিকে বক্তব্য দেওয়ার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের বলেন, 'কারও উসকানিতে পা দেবেন না, দয়া করে বসে যান। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নস্যাৎ করতে চায় তারা [সরকার]।'
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সময়ই কাকরাইলের দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া আসতে দেখা যায়। কিন্তু তখনও মহাসমাবেশের কার্যক্রম চলছিল।
এরপর বেলা পৌনে তিনটার দিকে একটি ভ্যানে করে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে বিএনপির মঞ্চের সামনে আনা হলে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
এক পর্যায়ে বিএনপি'র নিপুণ রায়, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেনসহ নেতাকর্মীরা লাঠি-সোঁটা হাতে কাকরাইলের দিকে যেতে থাকেন। তখন সমাবেশস্থলে কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে এবং মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন নেতা-কর্মীরা।
পুলিশের সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষে বিএনপির কর্মীরা ছাড়াও ইত্তেফাক ও কালবেলার সাংবাদিকেরা আহত হয়েছেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ সমাবেশ ডাকে বিএনপি।