১ নভেম্বর আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধন
আগামী ১ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। এ উপলক্ষে সোমবার (৩০ অক্টোবর) এ রেলপথে ট্রেনের চূড়ান্ত ট্রায়াল রান হয়েছে।
এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পাঁচটি খালি বগি নিয়ে একটি ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। ৩৫ মিনিট যাত্রা করে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ট্রেনটি ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতের নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের কর্মকর্তারা ট্রেনটিকে স্বাগত জানান।
এর আগে গঙ্গাসাগরে ট্রেনটিকে বিদায় জানান আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশিসহ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
আগামী ১ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে যৌথভাবে রেলপথটির উদ্বোধন করবেন।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। পুরো রেলপথটির দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশ পড়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে শুরু হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর গিয়ে শেষ হয়েছে রেলপথটি।
প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর হলেও করোনা মহামারিসহ নানান সংকটে পাঁচ বছর লেগেছে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া জানান, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু প্ল্যাটফর্মের কাজ বাকি। তবে ট্রেন চলাচলে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। এই রেলপথের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি রেলেরও আয় বাড়বে।