রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জাতিসংঘের
দেশের বর্তমান সংকটময় সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা রোধে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করতে এবং নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং পরে নাগরিকদের মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে সমুন্নত রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বিরোধী দলের সমাবেশে সহিংস ঘটনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সহিংসতাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে দেশের রাজনৈতিক নেতাদেরকে সহিংসতায় উসকানি দিতে পারে এমন কোনো বিবৃতি বা কাজ এড়িয়ে চলার জন্য আহ্বান করা হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্য, ছয় বিরোধীদলীয় সমর্থক, ও দুইজন পথচারী রয়েছেন।
২৮ অক্টোবর বিরোধীদলের বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক বিক্ষোভকারী এবং মুখোশধারী মোটরসাইকেল-আরোহীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন। 'তাদেরকে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক বলে মনে করা হচ্ছে,' বিবৃতিতে বলে মানবাধিকার হাইকমিশন।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ রড, লাঠিসোঁটা, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এ বাহিনীটি সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নির্বিচারে নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও আটক করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে পুলিশকে কঠোরভাবে প্রয়োজন হলেই কেবল সংশ্লিষ্ট নিয়মনীতি মেনে বল প্রয়োগ করতে আহ্বান করা হয়।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আটক প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কথিত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ৩০ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযুক্ত করা হয়। তিনি বর্তমানে আটকে রয়েছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে আরও বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিরোধীদলীয় নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।'