অবরোধের শেষদিন: গাবতলী থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস
অবরোধের তৃতীয় ও শেষ দিন বৃহস্পতিবারেও (২ নভেম্বর) গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
আজ সকাল ১০টা থেকে ১১.২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ১০টি কাউন্টারে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
গাবতলী টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় অর্ধেক কাউন্টারই বন্ধ। নেই যাত্রীও। যে দুই-একজন যাত্রী আসছেন, তাদেরকে খোলা কাউন্টারে গিয়ে বাস ছাড়ার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দেখা গেছে।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার মোহম্মদ রাহাত বলেন, "যাত্রীই তো নেই গাড়ি ছাড়বো কীভাবে।"
তিনি জানান, তবে আগামীকালের টিকেটের জন্য ফোনে যোগাযোগ করছেন অনেকেই।
কোটালিপাড়া স্টার এক্সপ্রেস এর কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আলমগীর হোসেন বলেন, "আজ গাড়ি ছেড়ে যায়নি। তবে আমরা টিকিট বুকিং নিয়ে রাখছি কালকের জন্য।"
বগুড়া, রাজশাহী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায় শ্যামলী এন আর পরিবহনের গাড়ি। কাউন্টারের টিকেট মাস্টার বিল্লাল হোসেন বলেন, "আগামীকালের ৫টি অগ্রীম টিকেট বিক্রি করেছি। কাল সকালে বাস ছাড়বে।"
এছাড়া যাত্রী পেলে রাত ১০টার পরেও গাড়ি ছাড়বে বলে জানান তিনি।
বগুড়ায় যেতে গাবতলীর শ্যামলী এন আর পরিবহনের কাউন্টার থেকে কালকের টিকিট কেটেছেন আয়শা আক্তার। তিনি জানান, ছোটবাচ্চা নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাবেন; তাই আগেই টিকিট কেটে রেখেছেন। দুইদিন আগে যাওয়ার কথা থাকলেও বাস না ছাড়ার কারণে যেতে পারেন নি।
এদিকে, অবরোধে বাস না ছাড়ায় বিপাকে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যমুখী যাত্রীরা। অনেকে বাস না পেয়ে বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন।
জরুরি কাজে পাবনা যাবেন মো. মাসুদ রানা। সরাসরি কোনো গাড়ি গাবতলী থেকে না পেয়ে এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আরেক যাত্রী সেজান ইসলামও বগুড়ার গাড়ি পাচ্ছেন না। ফলে তাকেও ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।
এদিকে গাবতলী থেকে পদ্মা পরিবহন, সেলফি পরিবহনের গাড়িগুলোকে মানিকগঞ্জেরআরিচাঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যেতে দেখা যায়।
সেলফি পরিবহনের সুপার ভাইজার আরাফাত জানান, আরিচাঘাটের জন্য ১৮০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে ১০টি গাড়ি ছেড়ে গেছে।