বিএনপির ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছে: যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে "সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজি ক্রয় করে ন্যায্যমূল্যে বিতরণ" কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সবজি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।
এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি পিস ফুল কপি ২৭ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, লাউ ২৭ টাকা, পালং শাক ৮ টাকায় বিক্রি করা হবে।
এছাড়াও প্রতি কেজি সিম ৩৪ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭৭ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মূলা ২৬ টাকা এবং বেগুন ৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে।
কর্মসূচির আওতায় ৬টি ট্রাকের মাধ্যমে সবজি বিক্রি শুরু হলো আজ; পর্যায়ক্রমে সারাদেশে কৃষকদের থেকে সবজি ক্রয় করে সাধারণ জনগণের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, "বিএনপি-জামায়াতের অনেক ব্যবসায়ী আছে তারা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে। তারা এই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। তারা আলুর ক্ষেত্রে করেছে, ডিমের ক্ষেত্রে করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "মানুষ যে জিনিস খেয়ে বাঁচে সেই জিনিসের উপর তারা ষড়যন্ত্র করে। এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ব্যবসায়ীরা এ সিন্ডিকেট করছে।"
নিখিল বলেন, "ব্যবসা মানে মুনাফা করবে কিন্তু সেটি মানুষের উপর জুলুম করে নয়। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন এবং আমাদের তিনটি বিশ্বস্ত সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা যে দামে ক্রয় করেছি সে দামেই বিক্রি করবো।"
"আমরা সারা বাংলাদেশের সকল নেতাকর্মীদের অনুরোধ করতে চাই, আমরা সরাসরি কৃষকদের থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনে এনে সেই দামে সাধারণ মানুষদের কাছে বিক্রি করবো। আমরা প্রমাণ করতে চাই বাংলাদেশের মানুষ চাইলে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারে। আমরা কৃষকদের পাশে থাকি", বলেন তিনি।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, "দেশবিরোধী একটি শক্তি আছে যে শক্তি দেশকে ভালোবাসে না, দেশের মানুষকে ভালবাসে না। যে শক্তিটি একাত্তরের স্বাধীনতা চায়নি। যে শক্তিটি একাত্তরের নরঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক। যে শক্তিটি ২১ আগস্টের ঘাতক, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের ঘাতক। সেই গোষ্ঠীটির নেতা হলো তারেক রহমান। তারেক রহমান লন্ডনে বসে বসে সরকারের ভাবমূর্তি কেমন করে নষ্ট করা যায় সদা সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।"