যশোরে সোনা চোরাচালানের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২ জনের
যশোরের শার্শায় সীমান্ত দিয়ে ৬২৪ বার সোনা পাচারের দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ চোরাচালান মামলায় আরও চারজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন ভারতীয় নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন মহিউদ্দিন তরফদার, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান।
ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ইমরান হোসেন, রুবেল শেখ, কবির হোসেন ও শফিকুল মণ্ডল ওরফে লিদুকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট শার্শার শিকারপুর ক্যাম্পের বিজিবির একটি টহল নারিকেলবাড়িয়া সীমান্ত পিলারের কাছে এক পাচারকারীকে আটক করে এবং দুটি বস্তা উদ্ধার করে।
আটক মহিউদ্দিনের কাছে ২২৪টি সোনার বার ছিল। অন্য দুই চোরাকারবারি পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ফেলে রাখা বস্তা থেকে আরও ৪০০ বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ সোনার মোট ওজন ছিল ৭২.৪ কেজি।
এ ঘটনায় শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
শার্শা থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। পরে সিআইডি অভিযোগপত্র পায়। মামলায় নয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।