মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসের চিঠি
নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি, জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন নিজের ও ছেলের নামে কেনা মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর এই চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এমন কোন চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। একই সাথে এই ধরণের চিঠি বিধিসম্মত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমে গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, 'রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন সাংবাদিক আমার এবং আমার ছেলের নামে মনোনয়নপত্র কিনেছি কিনা– তা জানতে চান। আমি তাদের জানাই, মনোনয়ন কেনার কোন প্রশ্নই উঠে না। একই সাথে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রেরণ করি। আমি জানাতে চাই, নির্বাচন কার্যালয় থেকে আমাদের নামে কাউকে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে বলা হয়নি। মনোনয়নপত্র প্রদান করার পূর্বে আমার সাথে কেন যোগাযোগ করা হলো না, তা জানতে চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, আইনের শাসন এবং জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই সংগ্রাম সফল না হওয়া পর্যন্ত আমি এবং আমার সন্তান– বিএনপির সাথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। কোন লোভ, লালসা আমাদেরকে আদর্শচ্যুত করতে পারবে না।'
এই বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, 'এমন কোন আবেদনপত্র আমার কাছে পৌঁছায়নি। তা ছাড়া, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে তা বাতিলের সুযোগ নেই নির্বাচনী বিধিমালায়। সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা না দিলে এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। আর জমা দেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হয়।'
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের একটি সুত্র জানায়, 'গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে মোহাম্মদ কায়সার রিফাতের নামে যিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার নাম নাজমুল। তিনি গিয়াস উদ্দিনের আরেক পুত্র নাসিক কাউন্সিলর– জিএম সাদরিলের পিএস হিসেবে কাজ করেন। নাজমুল উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই এই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন'