শিক্ষা উপমন্ত্রীর হলফনামা, মনোনয়নপত্র চ্যালেঞ্জ করলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী
নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য ও তথ্য গোপন করার অভিযোগ দাখিল করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থীতা বাতিল ও মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণার আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সানজীদ রশীদ চৌধুরী।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এই অভিযোগ দাখিল করেন।
এই বিষয়ে সানজীদ রশীদ চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, "উনি (মহিবুল হাসান চৌধুরী) একজন সম্মানী মানুষ। উনি নিজের মায়ের ব্যাপারে হলফনামা ও মনোনয়নপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং তথ্য গোপন করেছেন। বিষয়টিসহ আরও কয়েকটি তথ্য উপস্থাপন করে অভিযোগ দিয়েছি।" আগামী ১৪ ডিসেম্বর এই বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
দাখিল করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, 'মহিবুল হাসান চৌধুরী হলফনামা ও মনোনয়নপত্রে মাতার নাম হাসিনা মহিউদ্দিন উল্লেখ করলেও বাস্তবে তার জম্মধাত্রী মাতা শাহেদা মহিউদ্দিন'। প্রার্থীর জম্ম তারিখ ১৯৮৩ সালের ২৬ জুলাই। প্রার্থীর পিতা মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৮২ সালের মার্চে শাহেদা আক্তারকে বিয়ে করেন। পরে তিনি শাহেদা মহিউদ্দিন হিসেবে পরিচিতি পান। তার ঔরশেই প্রার্থীর জম্ম হয় ১৯৮৩ সালের ২৬ জুলাই। ১৯৮৬ সালের ১৯ অক্টোবর বোমা দুর্ঘটনায় শাহেদা মহিউদ্দিন মারা যান। এই বিষয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলাও হয়েছিল।
১৯৮৭ সালের জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারিতে মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয় হাসিনা মহিউদ্দিনের। তখন প্রার্থীর বয়স ৪ বছর বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগ পত্রে। তাছাড়া প্রার্থীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার মধ্যেও গরমিল পাওয়া যায় বলে জানান সানজীদ রশীদ চৌধুরী।
সানজীদ রশীদ চৌধুরী জানান, প্রার্থী ( মহিবুল হাসান চৌধুরী ) মনোনয়নপত্র ও হলফনামায় মাতার হিসেবে হাসিনা মহিউদ্দিনের নাম উল্লেখ করেছেন। অথচ ওনার গর্ভধারিনী মা হচ্ছেন মরহুমা শাহেদা মহিউদ্দিন।
এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপাত্ত ও দেশের আইন কানুনের কপি অভিযোগ কপির সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই ইতোমধ্যে বৈধ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট রির্টানিং অফিসার।