উৎসব ও শান্তির বার্তায় বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন
বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে বিশ্বের সঙ্গে ২০২৩ সালের বড়দিন ঐতিহ্যগত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করছে। এবারের উৎসব দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষ্য বহন করছে।
বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।
উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে: রঙিন আলোয় সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি এবং ক্রিসমাস ক্যারল এবং স্তোত্রের আনন্দময় শব্দে ভরা বাতাস, বিশেষত গির্জার বিশেষ প্রার্থনার সময়। এই প্রাণবন্ত উদযাপন কেবল বিশ্বাসেরই প্রদর্শন নয়, সম্প্রদায়ের বন্ধনকে শক্তিশালী করার একটি উপায়ও।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, যেখানে বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও পেশাদার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হবে একদল গায়কের পরিবেশনা, যার সমাপ্তিতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ক্রিসমাস কেক কাটবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্রিস্টান মিশনের প্রতিফলন ঘটিয়ে অভাবগ্রস্তদের জন্য তার আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ী অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।