৭ জানুয়ারির নির্বাচন রুখে দিন: জনগণকে রিজভী
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, "৭ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। এটি একতরফা নির্বাচন, এটি অবৈধ নির্বাচন, ভাওতাবাজির নির্বাচন, জনণের সঙ্গে প্রতারণার নির্বাচন, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন।"
আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচনের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের মোড়ে স্থানীয় দোকানপাট-সাধারণ জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী।
অসহযোগ আন্দোলনের জনমত তৈরি করতে লিফলেট বিতরণ শেষে রিজভী বলেন, "বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়। সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে মানুষ পুড়িয়ে মারে আওয়ামী লীগের লোকেরা, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। কয়দিন আগে ভোলায় বোমা বানাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মারা গেছে। বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমাসহ হাতে নাতে ধরা পড়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। আর দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর।"
তিনি বলেন, "২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তারাই বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন আদালতকে হুকুম দিয়ে গণহারে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্মূল করে চিরদিন ক্ষমতা আকঁড়ে রাখেতে চান। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না।"
অবিলম্বে 'ডামি নির্বাচন' বন্ধ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ দলের অর্থনীতি বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মো. মোস্তফা জামান, আমান উল্লাহ আমান, হারুনুর রশিদ খোকা, আবদুস সালাম, হাজী জহিরুল ইসলাম, চান মিয়া, বিপ্লব, সোলেমান, রিপন হাসান, মতি মিয়া, ইসকান্দর, সোহেল রানা, রাতুল, আমিরুলসহ আরও অনেকে।