৭ তারিখ ভোট দিয়ে প্রমাণ করুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান : প্রধানমন্ত্রী
জনগণের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা সবাই আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন যে, দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। নির্বাচন যাতে না হয়, সেই চক্রান্ত এখনো চলছে। প্রত্যেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোটের অধিকার, যেটা মিলিটারি ডিকটেটররা কেড়ে নিয়েছিল এবং আমরা যেটা ফিরিয়ে এনেছি, সেই অধিকার প্রয়োগ করবেন।"
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এই ২০২৩ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আজ আমরা ২০২৪ সালে পা দিয়েছি। এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই, বাংলাদেশের এত উন্নতি হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থল নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে মোটরসাইকেল, পিকআপে করে, পায়ে হেঁটে মিছিল সহকারে জমায়েত হতে শুরু করেন তাঁরা।
বিশাল এ জনসভায় 'দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মানুষকে নিয়েই আমাদের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন। এই সংগঠন বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। বাঙালি জাতি তাদের জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছে। বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই।"
"নৌকায় ভোট দিয়ে প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবেন। আমি সেই আহ্বান জানাই। অবশ্য নৌকায় আবার লাঙ্গলও চড়ে বসেছে। সেটিও একটু দেখবেন। যারা দূরে আছেন, তারা দূরে নেই। তারা আছেন আমার অন্তরে"- যোগ করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৫ বছর পরে নারায়ণগঞ্জে এ জনসভা করছেন তিনি। তাই তাঁর আগমন উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
শেখ হাসিনা আগমন উপলক্ষ্যে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সকে ব্যাপক সাজসজ্জার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। নারায়ণগঞ্জ শহর ও জনসভাস্থলে বিদ্যুতের খুঁটিতে বসানো হয় লাউডস্পিকার। জনসভায় যোগ দিতে আসা নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়। নগরীর রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়, ব্যানারে ও পোস্টারে পোস্টারে সাজানো হয় পুরো শহর।
বিকেল সোয়া ৩টা সময় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান।
নারায়ণগঞ্জ শহরের লিংক রোড, মালেহ রোড, কলেজ রোড, কালীবাজার, হাসপাতাল রোড-সহ বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে এসব জমায়েত থেকে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে মিছিল করে যান নেতা-কর্মীরা।