মুন্সীগঞ্জে নৌকার সমর্থককে হত্যা, চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী গুলিবিদ্ধ
মুন্সীগঞ্জে নৌকার একজন কর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জিল্লুর রহমান (৪০) নামের এক নৌকা সর্মথককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকে হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লবের সর্মথকদের বিরুদ্ধে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার টেঙ্গর এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, নিহত জিল্লুর রহমান কোন দলের সমর্থক কি না, সেটি তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে জিল্লুরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিপি ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন।
নিহাতের স্ত্রী রেহেনা বেগমের দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের সর্মথক সাবেক পৌর মেয়র মো. শহিদুল ইসল শাহীন ও পৌর কাউন্সিলর মো. লিটনের নেতৃত্বে নৌকা সর্মথক জিল্লুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রে কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ ওই কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলিবিদ্ধ ওই যুবক স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের কর্মী বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, 'উভয়পক্ষের গুলিবিনিময় হয়েছে কি না, আমরা জানি না। দুই পক্ষের মারামারিতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিশ্চয় এখানে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। গুলির ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি পিস্তলের গুলি।'
রোববার সকাল পৌনে ১০টায় পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্র এলাকায় দেখা যায় সড়কে ইটপাটকেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য নুরুল আলম আশেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে মোট প্রার্থী নয়জন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। এছাড়া আসনটিতে জাতীয় পার্টির জহরুল ইসলাম রেজা পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন পেয়েছেন চেয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছেন কেটলি, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মিজানুর রহমান পেয়েছেন একতারা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী পেয়েছেন মোমবাতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম পেয়েছেন ফুলকপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মো. আনিছুর রহমান পেয়েছেন মশাল ও তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির পেয়েছেন সোনালী আঁশ।