কম ভোটার উপস্থিতির মধ্যেই শেষ হলো ভোটগ্রহণ, গণনা শুরু
ভোটারদের স্বল্প উপস্থিতির মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হার এখনো জানানো হয়নি।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল– বিএনপি ও তাদের আন্দোলনের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ আরও বেশকিছু দল এই নির্বাচন বর্জন করলেও, সরকার নির্বাচনকে সফল বলে ঘোষণা করেছে।
তবে ভোটার উপস্থিতির হার ৪০ শতাংশের কম হলে, ১৯৯৬ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর তা হবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ওই নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণের হার ছিল ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ভোটের দিন রাজধানীতে পথঘাট ছিল অনেকটাই জনশূন্য, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালও এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে। এদিন বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার কথা জানা গেলেও, সার্বিকভাবে নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ।
তবে ভোটের বুথ দখল এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ ছিল, যার ফলে তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র ও দলীয় সংশ্লিষ্টতা থাকা প্রার্থীও ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন।
এমনকি দেশের প্রধান আরেকটি রাজনৈতিক দল– জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদেরকে ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া হয় কিনা…
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়া ৪৪ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৬টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, যাদের নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি।
এদিকে ৩০০ আসনে নির্বাচন হলেও– একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নওগাঁ-২ আসনে নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। খুব শিগগিরই এ আসনের নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নির্বাচনের আগে শুক্রবার রাতে, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনাসহ সিরিজ অগ্নিসংযোগের পরে দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে চারজন মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে ১৬ ঘণ্টায় মোট ১৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এই প্রেক্ষাপটে ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের ঘটনা মোকাবিলায় দেশব্যাপী ৮ লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।