জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিলেন কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের পালটা প্রশ্ন করেন, "বিরোধী দল কে হওয়া উচিত?"
তখন সাংবাদিক "দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হবে" উত্তর দিলে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তাহলে ধরে নিন তারাই (জাতীয় পার্টি) হচ্ছে।"
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "তারা একটা রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ মানে? তাদের পার্টি হচ্ছে জাতীয় পার্টি, নট আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বতন্ত্র আছে। আর দল যদি বলেন, তাহলে বিরোধী দল তো জাতীয় পার্টি।"
সংবাদ সম্মেলনে কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, "তাদের (বিএনপি) অবস্থান তারা নিজেরাই পরিষ্কার করে দিয়েছে। আন্দোলনে বোঝা গেছে তারা দুর্বল না শক্তিশালী। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে অংশ নেয়নি, সেখানে তাদের অবস্থান পরিষ্কার। জনগণকে দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করাবে, সেখানেও তারা ব্যর্থ। তাদের শক্ত কোনো অবস্থান তো দেখতে পাচ্ছি না। দল হিসেবে তারা দুর্বল একথা আমি বলতে চাই না।"
বিএনপির ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তারা সবকিছু হারিয়ে শোক সাগরে নিমজ্জিত। শোকের মিছিল হারানোর বেদনা থেকে হয়। ইলেকশনে হেরে গেছে, আন্দোলনে হেরে গেছে, এখন আর কিছু করার নেই। আমি বলব কালো পতাকার সঙ্গে কালো ব্যাজ ধারণ করলে ষোল কলা পূর্ণ হবে।"
দেশে-বিদেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, "অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব সন্ত্রাস। দেশে-বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অথচ বাংলাদেশে তারা এটাকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি বলে অপপ্রচার করছে। মনে হয় যেন সরকার কচু পাতার ওপর শিশির বিন্দু, একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে।"
তিনি যোগ করেন, "এই সরকারের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এই সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।"
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ।