ইউনূসের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা চিঠি দিয়ে থাকলে, তারা আদালতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বলছেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূসের মামলা আদালতের এখতিয়ার, এটি সরকারের আওতাধীন নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'হয়রানি না করার জন্য' আহ্বান জানিয়েছেন। এবিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাম সম্মেলন থেকে ফিরে আসার পর এই ব্রিফিং করেন।
এসময় তিনি বলেন, 'কংগ্রেসম্যানরা যদি সে রকম চিঠি দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা বলছেন আদালতে হস্তক্ষেপ করার জন্য। সরকার কি আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে? এটি করা কি সমীচীন? আমাদের দেশে এটা করা হবে না। কোথাও করাটা সমীচীন নয়।'
'ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, এখানে সরকার কোনো মামলার পক্ষ নয়। মামলায় তাঁর শাস্তি হয়েছে। সরকার তো আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ক্ষতিগ্রস্তরা এই মামলা করেছেন'- যোগ করেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশকে নতুনভাবে আরও ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও তাঁদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান দেবে। আর ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার চট্টগ্রামে উইন্ডো ফর হোস্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড রিফিউজিস-এর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য সফট লোন হিসেবে দেওয়া হবে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছে। আমাদের সঙ্গে তারা আরও সম্পৃক্ততা বাড়াবে।
উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের সাইডলাইনে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী'র সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বাণিজ্য পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতেও আলোচনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে নতুনভাবে আরও ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। রোহিঙ্গা ও তাঁদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য এ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
এর মধ্যে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান দেবে। আর ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার চট্টগ্রামে উইন্ডো ফর হোস্ট কমিউনিটিজ অ্যান্ড রিফিউজিস-এর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য সফট লোন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বিশ্বব্যাংক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছে। আমাদের সঙ্গে তারা আরও সম্পৃক্ততা বাড়াবে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী'র সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বাণিজ্য পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতেও আলোচনা হয়েছে।