দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ, ১৮০ দেশের মধ্যে অবস্থান ১৪৯
সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। তালিকায় সর্বোচ্চ স্কোর প্রাপ্তির ক্রমানুসারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৯তম। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৭তম।
জার্মানির বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রতিবেদন (সিপিআই) ২০২৩-এ এমন চিত্র উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি জানান, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৪।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশের স্কোর বিব্রতকর ও হতাশাজনক। সরকারি ক্রয়, চুক্তি ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির মাত্রা ছিল নজিরবিহীন।'
এ গবেষণার বৈধতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সিপিআই-এ নোংরা বা রাজনৈতিকভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেই। টিআইবি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এ গবেষণায় কোনো দেশের প্রতি পক্ষপাতিত্ব নেই। যেই দল ক্ষমতায় থাকে সেই আমাদের সমালোচনা করে। আর যখন বিরোধী দলে থাকে, তখন তারা আমাদের পর্যবেক্ষণের প্রশংসা করে এবং তা ব্যবহার করে।'
সরকারি খাতে দুর্নীতির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। 'শূন্য' স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং '১০০' স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বলে ধরা হয়।
২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ তালিকায় দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি দেশের স্কোর ৫০ এর নিচে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার তুলনায় বাংলাদেশে দুর্নীতির হার বেশি। ১০০ স্কোরের মধ্যে ৯০ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক। ৮৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড।
তালিকায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া। এটির স্কোর মাত্র ১১। ১৩ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ভেনিজুয়েলা।