মিয়ানমারে সংঘাত: ঘুমধুম সীমান্তে স্কুল চলছে, শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে সেনা ও বিদ্রোহীদের গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে 'ছুটি দেওয়া' স্কুলগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আতঙ্কের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে লাগাতার গোলাগুলির কারণে গতকাল সোমবার সীমান্ত এলাকায় স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সীমান্ত এলাকার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫টি সরকারি স্কুলে দুপুরে পর ছুটি দেওয়া হয়।
স্কুলগুলো হল বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাডকে বলেন, সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি কমে আসায় মঙ্গলবার সকালে নির্ধারিত সময়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল। গতকালের চাইতে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কাটছে না
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেন, সীমান্তে ওই পাঁচটি স্কুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্কুল চলছে। তবে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একটু কম। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবসময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে থাকি।
আগামীকাল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সীমান্ত এলাকার এসব স্কুল পরিদর্শনে যাবেন।
সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, সীমান্তের ব্যাপারে বিজিবি দেখছে। তবুও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতির উপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।