মিয়ানমারের সংঘাত: নতুন করে পালিয়ে এসেছে বিজিপির আরও ৬৪ জন
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বিজিপির আরো ৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি, কাস্টমস, সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সদস্যের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৭ জন।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বিজিপির এই ৬৪ জন সদস্য পালিয়ে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি।
তিনি জানান, পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হাসানও তাদের পালিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে বিজিবির হেফাজতে থাকা ২৬৪ জনের মধ্যে ২২২ জন বিজিপি সদস্য, সেনা সদস্য ২ জন, সিআইডি সদস্য ৪ জন, স্থানীয় পুলিশ ৫ জন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন বিভাগের ২০ জন এবং বেসামরিক ২ জন ছিলেন।
আজ (৭ জানুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৬৪ জনকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত রয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ কমেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা গেলেও অনেকটা বন্ধ রয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ বলা যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ শোনা গেলেও গোলাগুলির শব্দ আর নেই।