তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা পেট্রোবাংলার
গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং ডলারের ঘাটতির মধ্যে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর জন্য একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর আওতায় ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি নতুন এবং পুরোনো কূপ খনন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
পেট্রোবাংলা বর্তমানে দৈনিক অতিরিক্ত ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ৪৮টি অনুসন্ধানমূলক, উন্নয়ন ও সংস্কারপূর্ণ কূপ খননের জন্য আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব কূপের মধ্যে ২৩টির খননকাজ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাপেক্স [বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড] পরিচালনা করবে। বাকি ২৫টির কাজ আউটসোর্স করা হবে।
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রতিদিন প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু আমদানিকৃত ৬৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসসহ দৈনিক গড় সরবরাহ মাত্র দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ প্রায় এক হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের দৈনিক ঘাটতি রয়েছে দেশে।
২০২৯–৩০ সালের মধ্যে দেশের গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ছয় হাজার ৬৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট হবে বলে অনুমান করছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে চার হাজার ৩৫২ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পেট্রোবাংলার একটি নথির বিবরণ অনুযায়ী, এ ব্যবধান পূরণ করতে সরকার অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, অনশোর এবং অফশোর প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইতোমধ্যেই দুটি অফশোর ব্লকে নতুন মজুত অনুসন্ধানে কাজ করছে। অফশোর তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে পেট্রোবাংলা অফিসে দেশের গ্যাসের চাহিদা, সরবরাহ এবং অনুসন্ধানের সুযোগ নিয়ে এক সেমিনারে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ১০০টি কূপের মধ্যে বাপেক্স ৫২টি নতুন কূপ খনন করবে এবং বিদ্যমান ১৬টি কূপের সংস্কার করবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ৯টি নতুন কূপ খনন করবে এবং পুরাতন সংস্কারপূর্ণ ১২টিতে খননকাজ চালাবে এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড ৮টি নতুন কূপ খনন করবে এবং পুরানো ৩টিতে সংস্কারকাজ চালাবে বলে জানান তিনি।
'এ জন্য তিন শতাধিক সম্ভাবনাময় এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ১০০টি কূপ চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমরা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করব এবং অবিলম্বে আমাদের বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রকৌশলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করব,' পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন।
৪৮টি কূপ খননের চলমান প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ইতোমধ্যে এই গ্যাস অনুসন্ধান কর্মসূচির সুফল পেতে শুরু করেছে।
জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, '১০টি কূপ সফলভাবে খননের মাধ্যমে দৈনিক ১৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশে। যদিও আমরা দৈনিক ১০ কোটি ঘনফুট উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করেছিলাম।'
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'বাংলাদেশে সাধারণত ২৬০০ মিটার থেকে ৪০০০ মিটার পর্যন্ত কূপ খনন করে গ্যাস তোলা হয়। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ-২-সহ কিছু কূপে ৪৯০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। পাবনার মোবারকপুরসহ ২টি কূপে আরও ডিপ ড্রিলিং [গভীর খনন] করার কাজ শুরু করেছি। আমরা ডিপ ড্রিলিং থেকেও অনেক ভালো ফল আশা করছি।'
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম বলেন, 'আমরা মার্চের প্রথম সপ্তাহে আমাদের অফশোর বিডিং গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এই প্রচেষ্টায় আপনার [অংশীজন] মূল্যবান মতামত জরুরি। আমরা অফশোর তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য অবিলম্বে দরপত্র আহ্বান করতে প্রস্তুত।'
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের মজুত কমে যাওয়ার মাঝে দেশীয় গ্যাস উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি দুই থেকে তিন বছর অব্যাহত থেকে তারপর আবার স্বাভাবিক হতে পারে।
'আমরা যদি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা মেটাতে দৈনিক প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারতাম, তাহলে বিদ্যুতের ভর্তুকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যেত। বর্তমানে মোট গ্যাস সরবরাহের ১৭ শতাংশ শিল্প মালিকানাধীন ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে বরাদ্দ করা হয়, আর ৪৩ শতাংশ গ্রিড পাওয়ার প্ল্যান্টসমূহে দেওয়া হয়,' নসরুল হামিদ বলেন।
তিনি বলেন, '৪৮টি কূপ খননের মাধ্যমে আমরা আগামী দুই বছরের মধ্যে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাব বলে আশা করি। ২০২৭ সালে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ছয় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সুতরাং আমদানির পাশাপাশি নতুন কূপ খনন করা অপরিহার্য।'
'পেট্রোবাংলা ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খনন করতে চায় — ভালো কথা — তবে প্রতি মাস এবং বছরের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, এবং যারা প্রত্যাশা পূরণ করতে অক্ষম হবেন, তাদের বাদ দেওয়া হবে,' বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের বলেন, অর্থায়ন নিয়ে উদ্বেগ ছাড়াই গ্যাস কূপ খননের দিকে তাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। সরকার তহবিলের ব্যবস্থা করবে।
'এলএনজি আমদানিসহ জ্বালানি চাহিদা মেটাতে গত দুই বছরে ১১ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে সরকারের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে গ্যাসের উত্তোলন বাড়ানো যায়নি,' বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল, ভোলা ও উপকূলীয় অঞ্চলে গ্যাস উত্তোলনে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ভোলা থেকে গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের তুলনায় ঝুঁকি কম রয়েছে।
বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমদ ফারুক পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, '২০১৪ সালেও ১০৬ কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েও পরবর্তীসময়ে তা সরকারি সীমাবদ্ধতার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের মতো জ্বালানি না পেলেও আমাদের দেশের ঐসব অঞ্চলে তেল–গ্যাসের পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।'
প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান মেনে দ্রুত সময়ে এত বেশি কূপ খনন করা সম্ভব হয় না, তাই খনন ব্যয়ের অর্থ পেতে সরকারকে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করার মতামত দেন বিশেষজ্ঞরা।
পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান বলেন, গ্যাস কূপ খনন এবং দেশীয় খনি থেকে কয়লা উত্তোলন উভয়ই আমাদের বর্তমান জ্বালানি সংকটের সমাধান। ফুলবাড়িয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন না করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিনি।
তেল–গ্যাস মজুত নিয়ে আগের জরিপ
১৯৮৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৯টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তেল-গ্যাস সম্পদের সম্ভাবনা নিরূপণে কাজ করে। এসব সংস্থা সারাদেশে এবং কিছু সংস্থা বিশেষ এলাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে।
২০০১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ও পেট্রোবাংলা এবং হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও নরওয়েজিয়ান পেট্রোলিয়াম ডিরেক্টরেট আলাদাভাবে দুটি সমীক্ষা পরিচালনা করে।
ইউএসজিএস-পেট্রোবাংলার প্রতিবেদনে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪, গড়ে ৩২ দশমিক ১ ও সর্বোচ্চ ৬৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (ঘনফুট) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ব্যক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও নরওয়েজিয়ান পেট্রোলিয়াম ডিরেক্টরেট সর্বনিম্ন ১৯, গড় ৪২ ও সর্বোচ্চ ৬৪ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে।
মোট গ্যাসক্ষেত্র
পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ মোট ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রজুড়ে ১১১টি কূপের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় দুই হাজার ৪১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। একটা সময় সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত দৈনিক গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছিল। মজুত কমে আসায় অনেক কূপেই উৎপাদন কমে এসেছে।
৫টি গ্যাসক্ষেত্র (রূপগঞ্জ, কামতা, ফেনী, ছাতক ও সাঙ্গু) পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৩টি গ্যাসক্ষেত্র (কুতুবদিয়া, ভোলা ও জকিগঞ্জ) গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থার অভাবে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এলএনজির দাম কমলেও ডলার সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
বিশ্বব্যাপী এলএনজির দাম কমে গেলেও বর্তমান ডলার সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে তেল, গ্যাস এবং কয়লার সম্মিলিত আমদানি ব্যয় ১৩ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার ছিল। জ্বালানি বিভাগের অনুমান, চলতি বছরের এ খাতে ১৮ বিলিয়ন ডলারের দরকার হবে।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অর্থনীতির জন্য ৫টি ঝুঁকির মধ্যে জ্বালানি স্বল্পতাকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। যেমন, জাপান কোরিয়া মার্কার (জেকেএম) বাজারে প্রতি এমএমবিটিইউ'র [মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট] মূল্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল ৯ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ ডলার এবং ২০২২ সালে ছিল ৩২ ডলার।
২০২২ সালের আগস্টে স্পট মার্কেটে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম রেকর্ড পরিমাণ ৬০ ডলার ছাড়ায়। তখন স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে দাম কমে যাওয়ায় ডলার সংকট সত্ত্বেও সরকার চলতি বছর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। এছাড়া এলএনজি রূপান্তর এবং গ্রিডে সরবরাহ করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে পেট্রোবাংলার এলএনজি আমদানিতে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির ২২টি কার্গো আনতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। প্রতিটি কার্গোতে ৩ দশমিক ৩৬ এমএমবিটিইউ এলএনজি থাকে।
জ্বালানি বিভাগের মতে, ২০২১–২২ অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।