বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, "আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।"
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪' প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, "পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ একটি গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন হিসেবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যে বিশাল সমুদ্র এলাকা অর্জন করেছে তা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।