জন্মের আগে শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিরুৎসাহিত করলেন হাইকোর্ট
শিশু জন্মের আগে তার লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ শনাক্তকরণকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের ডেটাবেজ সংরক্ষণ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের কল্যাণচিন্তায় প্রসবপূর্ব লিঙ্গ শনাক্তকরণ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে চার বছর আগে করা একটি রিট আবেদনের শুনানির পর রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছিলেন। রিটে জন্ম নেওয়ার আগে শিশুর লিঙ্গ শনাক্তকরণ নিষিদ্ধ করতে এবং প্রসবপূর্ব লিঙ্গ শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত যেকোনো মেশিন বিক্রি, স্থানান্তর বা পরিচালনা বন্ধ করার জন্য আদালতের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
একই বছর ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ রুল জারি করে কেন মাতৃগর্ভে থাকা শিশুদের লিঙ্গ শনাক্তকরণ প্রতিরোধে একটি নির্দেশিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা করতে আদেশ দেন।
রুলের শুনানির সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বছরের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে 'ন্যশনাল গাইডলাইন ফর দ্য প্রিভেনশন অভ সন প্রেফারেন্স অ্যান্ড দ্য রিস্ক অভ জেন্ডার-বায়াসড সেক্স সিলেকশন, ২০২২' শীর্ষক একটি নির্দেশিকা পেশ করে জানায়, প্রসবপূর্ব লিঙ্গ শনাক্তকরণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
শুনানিতে পিটিশন আবেদনের পক্ষে ছিলেন ইশরাত হাসান। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত এবং অ্যাডভোকেট তীর্থ সলিল পাল যথাক্রমে রাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিত্ব করেন।