শারজাহ থেকে আসা দুই বিমানযাত্রীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়াতে আসা দুই বিমানযাত্রীর কাছ থেকে দুই কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে কাস্টমস ও এনএসআই।
শনিবার (২ মার্চ) সকালে এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইনসের জি৯-৫২৬ ফ্লাইটযোগে আসা যাত্রী শফিকুল ইসলাম ও মোরশোদের কাছ থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এনএসআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিন পাটোয়ারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জি৯-৫২৬ ফ্লাইটটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কাস্টম স্ক্যানিংয়ের পর শুল্ক গোয়েন্দা ও এনএসআই যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের পটিয়ার মো. শফিকুল ইসলামের ব্যাগেজ তল্লাশি করে একটি গৃহস্থালি মেশিনের ভেতর স্বর্ণের অস্তিত্ব খুঁজে পায়।
ওই সোনার ওজন ১ কেজি ১১৪ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
একই ফ্লাইটে আসা হাটহাজারীর মো. মোরশেদের আনা কোভ্যাক্স হাই প্রেসার ওয়াশার মেশিনে ১ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা।
কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ব্যাগেজে থাকা কোভ্যাক্স হাই প্রেসার ওয়াশার মেশিনের ওজন অস্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীসহ বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে স্বর্ণকার দিয়ে কাটার মেশিনের সাহায্যে সাহায্যে কাটানো হয়। এরপর ওই মেশিনের রোলারের ভেতর বিশেষভাবে লুকানো একটি দণ্ডাকৃতির পিণ্ড পাওয়া যায়।
এনএসআই জানায়, শারজাহ থেকে আসা বিমানযাত্রী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি করে এনএসআই তার কাছ থেকে ১ কেজি ১৪০ গ্রাম পিণ্ড আকৃতির নিখাদ স্বর্ণ ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ১ হাজার ২৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে।
যাত্রী দুইজনকে কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা এবং এনএসআই কর্তৃক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক করা হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।