প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১১৭টি পদ সংরক্ষণে নির্দেশ হাইকোর্টের
চলমান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১১৭টি পদ সংরক্ষিত রাখতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১১ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষক পদে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত ১০ শতাংশ কোটা পূরণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
এই কোটা পূরণ করে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মহাপরিচালককে (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১১৭ জন আবেদনকারী প্রার্থীদের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, 'রিটকারীরা অত্যন্ত মেধাবী শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। ১১৭ জনের মধ্যে অনেকেই দেশের সবচেয়ে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, এই প্রার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ ও ২০২০-এর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন।
'তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কোনো প্রতিবন্ধী প্রার্থীকেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।'
পরে হাইকোর্টে রিট করা হয় বলে জানান তিনি।