ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, যাত্রী থাকলেও এখনও চাপ নেই টেকনিক্যাল টার্মিনালে
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ছয়টা থেকেই টেকনিক্যাল টার্মিনাল থেকে ঈদযাত্রায় দেশের বাড়িমুখো যাত্রীদের নিয়ে বাস ছাড়ছে। সকাল থেকেই বাসগুলো পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে এই স্টেশন ছেড়েছে।
তবে যাত্রী থাকলেও এটাকে যাত্রীর চাপ বলতে নারাজ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
শ্যামলী এনআর পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সুশীল বাবু বলেন, 'গতকাল থেকেই বাসে ভিড় যাচ্ছে। আজকেও গাড়িগুলো পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। তবে সেটাকে খুব বেশি চাপ বলা যাবে না। অগ্রিম টিকেট ছাড়াও আজকেও দু'জন আসছে, এবং টিকিট পাচ্ছে। যেহেতু আমাদের ট্রিপের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, যারা আসছেন তাঁরা সবাই বাসের টিকিট পাচ্ছেন।'
শাহজাদপুর ট্রাভেলস- এর কর্মী খায়রুল ইসলাম বলেন, 'সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে টেকনিক্যাল বাস টার্মিনাল থেকে ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই প্রতিটি গাড়ি পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে আজ। স্বাভাবিক সময় আমাদের ১৪টার মতো ট্রিপ হয়। আজকে ২২ টি ট্রিপের পরিকল্পনা আছে।'
এদিকে অতিরিক্ত চাপ ও ঝামেলা না থাকায় যাত্রীরাও প্রসন্ন।
দিনাজপুরের যাত্রী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তিন দিন আগে টিকিট কেটেছি। আজকে যাচ্ছি। আজ একেবারে ফাঁকাও নয়, আবার খুব একটা ভিড়ও না। আশা করি, রাস্তার পরিস্থিতিও ভালো থাকবে। ভালোভাবেই যেতে পারব।
আবার অনেক যাত্রী আগে থেকে টিকিট কাটেনি। এখন টার্মিনালে আসছেন এবং টিকিট পাচ্ছেন– এজন্য তাঁরাও খুশি।
নওগাঁর যাত্রী স্বপ্না আক্তার একজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ঈদে আমার বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। হঠাৎ করে গতকাল রাতে মনে হল বাড়ি যাব। তাই আজ টেকনিক্যালে আসলাম। শ্যামলীতে একটি মাত্র টিকিট ছিল সেটাই আমি পেয়ে গেলাম। খুব ভালো লাগছে।
মাত্র একটি টিকিট ছিল বলে আপনার কাছে ভাড়া বেশি চেয়েছে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'না ভাড়া বেশি চায় নাই, সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিয়েছে। তবে ঈদের বকশিশ চেয়েছিল, সেটা আমি দেইনি।'