কেএনএফ কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে মদদ পাচ্ছে, এটা মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কোনো বিদেশি বা সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে মদদ পাচ্ছে বলে মনে করেন না তিনি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। এর আগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক) আওতায় নির্মিত পাঁচটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন তিনি।
বান্দরবানের ব্যাংকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের আক্রমণের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কেএনএফ কোনো ক্ষোভ বা দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়েও এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারে। এর কারণ জানা যাবে শিগগির। সীমান্ত থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে মদদ দেওয়া হবে, এটা আমরা মনে করি না। জোর তদন্ত চলছে, সবই বেরিয়ে আসবে।'
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। গোটা পাহাড় অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কেএনএফের ঘটনায় পুরো পাহাড় অশান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা তো হতেই পারে। গোটা পাহাড় এখানে অশান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।'
তিনি বলেন, 'এখানে বিষয়টা হচ্ছে, বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি, কিছুটা আলীকদম, এই এলাকাজুড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট, বম নামে একটি উপজাতি; পার্বত্য চট্টগ্রামে কিন্তু খাগড়াছড়িতে চারটা উপজাতি—বাঙালিসহ চার এবং রাঙ্গামাটিতে তিনটি আর সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হচ্ছে বান্দরবানে, ১৩টির মতো। এর মধ্যে বম, এরা খুব বড় না।'
কেএনএফের হঠাৎ আক্রমণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বম জনগোষ্ঠী চীন এবং ভারত সীমান্তের কাছে চীন স্টেট বলে ওদের একটা স্টেট আছে। মূলত ওখানেই তাদের একটা ঘাঁটি আছে বলে মনে করা হয়। কুকি-চিনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও অনেকবার হয়েছে। এরপর এরা হঠাৎ করে এভাবে অস্ত্র নিয়ে এভাবে বিদ্রোহ কেন করল, তার কারণ অনুসন্ধান চলছে। পরিস্থিতির যেন আর কোনো অবনতি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের যৌথ অভিযান চলছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।'