বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার ৫২ জন কারাগারে
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ৫২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রট নাজমুল হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক একে ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে একজন, দ্বিতীয় দফায় বিকালে তিনজন এবং সবর্শেষ দফায় ৪৮ জনকে আমলি আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল সোমবার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুইজনকে (চেওসিস বম ও গাড়িচালক কফিল উদ্দিন) কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহতুল হোসেন যন্ত সাংবাদিবদের বলেন, আজ রুমা ও থানচির দুই মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, 'ঈদের পর কাগজপত্র দেখে আসামিদের জামিনের আবেদন করব। তখন জামিনের শুনানি হবে।' গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবাই বম সম্প্রদায়ের বলেও জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে এবং এক ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে। লুট করে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি।
রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে ঘটলেও থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয় ভরদুপুরে।
দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম আসে।
এ নিয়ে দিনভর দুই উপজেলার মানুষের ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র্যাব।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অর্থ লুটের ঘটনায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানানো হয়। এরপর থেকে রুমা ও থানচি এলাকায় কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।