প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল টিকেটে ভ্যাট আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন: সেতুমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল টিকেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের এনবিআর জনপ্রিয় পরিবহন মেট্রোরেলের টিকেটে হঠাৎ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিল। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এনবিআরের এ সিদ্ধান্ত ভুল। এটি হয় না। এতে করে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে। প্রধানমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'ভারতে মেট্রোরেলে কি ভ্যাট আছে? ভারতে ভ্যাট নেই, আমরা কেন ভ্যাট বসাবো?'
মেট্রোরেলের পিলারগুলোতে পোস্টার লাগানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমাদের মেট্রোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা, অপরিচ্ছন্ন-নোংরা। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ নিয়ে তার বহুমুখী পরিকল্পনা। ঢাকা তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। যারা ব্যবহারকারী, তারা যেন মূল্যবান এসব সম্পদ রক্ষা করেন।
মন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের বিস্ময়, সে দেশের রাজধানীর অবস্থা খুব একটা ভালো না। এ শহরে এত দামি গাড়ি চলে, কিন্তু বাসের অবস্থা এত খারাপ কেন! এ অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় যে বাসগুলো চলে, ভীষণ খারাপ লাগে। এতে আমার লজ্জা লাগে। আমাদের মালিক সাহেবরা কী বিদেশ যান না, দেখেন না! কেন এত জরাজীর্ণ চেহারা! উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রকে বলবো -' এই ব্যাপারটা দেখতে, আপনাদের কর্মপ্রয়াসের সাথে এটি সঙ্গতিপূর্ণ নয়।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে। মুখে 'লিপ সার্ভিস' দিয়েতো লাভ নেই। সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেট্রোরেলের যে সুবিধা জাপান দিয়েছে, এখানে শব্দদূষণ নেই। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে ৬টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে দুটিই পাতাল রেল।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ও জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি উপস্থিত ছিলেন।