মেধায় ভর্তির কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১,২০০ আসন খালি
মেধা-ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ভর্তি প্রক্রিয়ার কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশব্যাপী ৫৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রায় ১,২০০টি আসন খালি রয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।
শনিবার (২৫ মে) ঢাকায় বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন এবারের শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন শূন্য থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আগামী ৫ জুন থেকে এই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিপিএমসিএ-এর সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, "এটি চিকিৎসা শিক্ষারমানকে ক্ষুণ্ন করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক চেষ্টার প্রয়োজন হলেও ধ্বংস করা কিন্তু অনেক সহজ। আগের ব্যবস্থার অধীনে, বেসরকারি খাতের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজ বেছে নিতে পারত। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও, বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার কারণে তাদের অপশনগুলো সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।"
অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভাইভা পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার কম হওয়ার তথ্য উপস্থাপন করে বিপিএমসিএ। শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক অটোমেশন পদ্ধতির কারণে তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে না পারায় এমনটি হয়েছে বলে জানাত অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই মানের ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, পপুলার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
তবে, মেডিকেল শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে বিপিএমসিএ'র দাবি অস্বীকার করে বলেন, "অটোমেশন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পৃক্ততায় ব্যবস্থাটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। সরকারি মেডিকেল কলেজের মতোই, এখন মেধা ও শিক্ষার্থীদের পছন্দের ভিত্তিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হচ্ছে।"
অধ্যাপক টিটু মিয়া আরও বলেন, মেডিকেল শিক্ষায় মেধাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্তটি বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার পরেই নেওয়া হয়েছে।
"এর লক্ষ্য হল, শুধুমাত্র সবচেয়ে যোগ্য শিক্ষার্থীরাই যেন মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে পড়ার সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করা। এটি বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নত করতে কাজ করবে," যোগ করেন তিনি।