ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ, ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও ১৯ জেলায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এসব জেলার ১০৭টি উপজেলা ও ৯১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার ৩৫ হাজার ৪৮৩টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর জেলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি জেলায় নগদ সহায়তার ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য কেনার জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা, গোখাদ্য কেনার জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। গরু, মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১৪৬। এ ছাড়া দুর্গত মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে ১ হাজার ৪৭১টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।