সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন করলেন আইনজীবী
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞায় পড়া সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বুধবার (২৯ মে) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান এ আবেদন করেন।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যে তিনি তার আবেদন পৌঁছে দিয়েছেন।
'আজিজ আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক উদ্যোগ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে,' বলেন তিনি।
অভিযোগ অনুসন্ধানের আবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহমেদ বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে সেনাবাহিনী ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।
'এতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করে,' বলা হয় আবেদনে।
'কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, দুর্নীতি দমন কমিশন এত বড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরওে অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি — যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা,' আবেদনপত্রে বলেন ওই আইনজীবী।
উল্লেখ্য গত ২০ মে মধ্যরাতে (বাংলাদেশ সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবমূল্যায়ন হয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। এছাড়া আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের পর প্রতিক্রিয়ায় দেশের একটি বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যমের কাছে আজিজ আহমেদ দাবি করেন, 'তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অবান্তর। তার ধারণা সরকারকে কিছুটা হলেও বিব্রত বা হেয় করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা হতে পারে।'