নতুন পাঠ্যক্রমে এসএসসিতে ২ বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও কলেজে ভর্তি হতে পারবে শিক্ষার্থীরা
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মঙ্গলবার (২৮ মে) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির সুযোগের সম্ভাবনাসহ নতুন পাঠ্যক্রমের জন্য বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে।
এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্তটির বিষয়ে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটি এবং বোর্ড নিজে অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে এটি জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ নতুন ব্যবস্থার অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা পরবর্তী বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ওই অকৃতকার্য বিষয়গুলোর ওপর পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। এ সময়ে তারা কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
তবে এসএসিতে সব বিষয় পাশ না করা পর্যন্ত তারা উচ্চ-মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
'অনেক দেশে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়,' ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক মশিউজ্জামান। 'অপ্রত্যাশিত কোনো পরিস্থিতি একজন শিক্ষার্থীর নৈপুণ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। তাদের শিক্ষাজীবন থেকে এক বছর যেন হারিয়ে না যায় তা মাথায় রেখে এ প্রস্তাবটি তোলা হয়েছে।'
কমিটি উপস্থিতি ও মূল্যায়ন পদ্ধতির গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ৭০ শতাংশ উপস্থিতি বজায় রাখতে হবে এবং সাত-পয়েন্ট স্কেলের ভিত্তিতে পাশের গ্রেড অর্জন করতে হবে। এ স্কেলে লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক কাজের জন্য ৩৫ শতাংশ নাম্বার ধরা হয়েছে।
অধ্যাপক মশিউজ্জামান স্পষ্ট করেছেন যে, এসএসসিতে ব্যর্থ হওয়ার পরও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য উপস্থিতির এই শর্ত এবং মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার শর্তগুলো বজায় থাকবে।
নতুন পাঠ্যক্রমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, আর্টস, ও সংস্কৃতির মতো বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ পাঠ্যক্রমের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয় মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দকৃত বিরতিসহ শিক্ষার্থীদেরকে পুরো পাঁচঘণ্টা পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকতে হবে।