মালয়েশিয়াগামী অভিবাসী কর্মীদের ভোগান্তির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়াগামী অভিবাসী কর্মীদের ভোগান্তি সৃষ্টির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং যেসব এজেন্সি দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
আজ শনিবার (১ জুন) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, "ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য যেসব এজেন্সি দায়ী তাদের ব্যাপারে আমরা তদন্ত কমিটি করব। এবং যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
মন্ত্রী জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যারা যাবে তাদের তালিকা দেওয়ার জন্য এপ্রিলের ১৫ তারিখে এজেন্সিগুলোকে জানানো হলেও তারা কোন তালিকা দিতে পারেনি।
তিনি বলেছেন, যারা ভোগান্তির শিকার হয়েছে তাদের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তারা দরখাস্ত দিলে দায়ীদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের কাছ থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের কর্মস্থলে পৌঁছানোর তারিখ বাড়ানোর জন্য আরো আগেই চিঠি দেয়া হলেও কোন উত্তর আসেনি। কিন্তু দূতাবাসের মাধ্যমে চেষ্টা চলমান আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত অভিবাসন খরচ নিলেও অব্যবস্থাপনা ও সন্দেহজনক লেনদেনের কারণে এ কর্মীদের জন্য সময়মতো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে পারেনি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সিন্ডিকেট।
মালয়েশিয়ার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ মে-র মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের টিকিট দিতে না পারায় গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিমানবন্দরে শত শত লোক জড়ো হয়েছিলেন।
ঢাকা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার সাতটি ফ্লাইটে দুই হাজারের বেশি কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় ১০ হাজার কর্মী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারেননি বলে ধারণা করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এজেন্সিগুলো এ বিপর্যয়ের দায় চাপিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের ওপর।
দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিকদের বেকারত্বের অভিযোগের মধ্যে গতকাল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। চার বছরের বিরতির পরে ২০২১ সালের শেষের দিকে ফের খুলে দেওয়া হয়েছিল দেশটির শ্রমবাজার। সরকার অভিবাসনের খরচ নির্ধারণ করেছিল ৭৯ হাজার টাকা।