সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় হাইকোর্টের
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল থাকছে।
আজ বুধবার (৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাতদিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন।
পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিগুলোতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ পরিপত্র জারি করে।
এতে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (পূর্বে ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩ তম গ্রেডের (পূর্বে ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ওইসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।