সুন্দরবন: সাঁতার কেটে খাল পাড়ি দেওয়ার সময় কুমিরের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে কুমিরের আক্রমণে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। বনের করমজল খালে সাঁতার কেটে পাড়ে আসার সময় কুমিরের মুখে পড়েন মৌয়াল মোশারেফ গাজী।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির ওই মৌয়ালের মৃত্যুর কথা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর কাছে নিশ্চিত করেছেন। নিহত মোশারেফ ঢাংমারী গ্রামের মৃত আমীর আলী গাজীর ছেলে।
'শনিবার (৮ জুন) দুপুরে করমজল খালে জোয়ারের সময় সাঁতার কেটে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটি কুমির টেনেহিঁচড়ে মোশারেফকে গভীর পানিতে মধ্যে নিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীরা চেষ্টা করেও তাকে রক্ষা করতে পারেননি,' বলেন তিনি।
দুই দিন আগে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশনের একটি খাল দিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য জঙ্গলে প্রবেশ করেন দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নের ঢাংমারী গ্রামের মোশারেফ গাজীসহ বেশ কয়েকজন মৌয়াল।
যদিও গত ১ জুন থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিনমাস বনে জেলে, মৌয়ালসহ সব ধরনের বনজীবী এবং পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
নৌকা দিয়ে প্রায় দুঘণ্টা চেষ্টার পর নদীতে ভাসমান একটি গাছের ডালের সঙ্গে আটকানো অবস্থায় মৌয়াল মোশারেফ গাজীর মরদেহ উদ্ধার করেন সঙ্গীরা।
ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা মহাসিন হোসেন বলেন, 'করমজল খালে কুমিরের আক্রমণে মোশারেফ গাজী নামক একজন নিহত হয়েছে শুনেছি; কিন্ত পাস-পারমিট ছাড়া তিনি কীভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে।'
এছাড়া বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া কোনো মৌয়াল বা জেলে বনে প্রবেশের পর নিহত হলে বন বিভাগ তার দায়ভার নেবে না বলে জানান এ বন কর্মকর্তা।
মোশারেফ গাজীর মরদেহ দাকোপ থানা পুলিশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরাতহালের পর শনিবার বিকেলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।