মিরনজিল্লা কলোনির হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের ওপর ৩০ দিনের স্থিতাবস্থা
বহুতল কাঁচাবাজার নির্মাণের জন্য পুরান ঢাকার আগা সাদেক লেনের মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনি উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর ৩০ দিনের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস এবং সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।
অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা সাংবাদিকদের বলেন, 'আদালত অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখেছেন। আদালত বলেছেন যে আসছে ঈদে যে বর্জ্য আবর্জনার সৃষ্টি হবে, সেটা তো এই হরিজনরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবেন। তাদের এখন উচ্ছেদ করলে যাবে কোথায়।'
আইনজীবীরা বলেছেন, এই আদেশের ফলে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে তাদের পুর্নর্বাসন না করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালত দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষকে মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনির বাসিন্দাদের বসবাসের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর সরানোর উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
এর আগে রাজধানীর আগা সাদেক লেনের মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনি উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেয় ডিএসসিসি। কয়েকদিন আগে এই কলোনি উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার মুখে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয় সিটি করপোরেশন।
জানা যায়, মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে করপোরেশনের প্রায় ৩ দশমিক ২৭ একর জমি আছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে আসছেন। কলোনির এক পাশে ২৭ শতাংশ জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে হলে সেখানকার কিছু বাসাবাড়ি ভেঙে দিতে হবে। আগে বিদ্যমান কাঁচাবাজারটি ১৭ শতাংশ জমিতে ছিল। বাকি জমি থেকে স্থাপনা সরাতে এই অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।